HelpLine: +8801713043909

Vision

এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ

(একটি স্বেচ্ছাসেবী বন্ধু ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা)

 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

  সংগঠনের পরিচিতি

“এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ” বাংলাদেশের সকল বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের জনকল্যাণমূলক ও বন্ধু কল্যাণ বা আর্তমানবতার সেবায় কাজ করার লক্ষ্যে জানুয়ারি ২১, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে স্কুল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় যা পরবর্তিতে জানুয়ারি ২১, ২০২০ খ্রিস্টাব্দে “এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ” নামে অন-লাইন ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যা আজ দেশ ছাপিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে এর কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।

এই সংগঠনটি বাংলায় “এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ” ও ইংরেজিতে ‘SSC BATCH 1986 BANGLADESH’ নামে অভিহিত হবে।

সংগঠনের স্লোগান  হবে- বাংলায় “দৃঢ় হোক বন্ধুত্ব, সহযোগিতার বন্ধনে”ইংরেজিতে- “WALK TOGETHER, BE STRONGER

সংগঠনের ধরণ এবং বৈশিষ্ট্য:

“এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ” সংগঠন – একটি সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক, অরাজনৈতিক, অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক, গণতান্ত্রিক,  বন্ধু কল্যাণ এবং জনকল্যাণমুখী সংগঠন যা বাংলাদশের প্রতিটি অঞ্চলে পরিচালিত হচ্ছে। এই সংগঠনটি অদূর ভবিষ্যতে ক্লাব ভিত্তিক ছিয়াশি সংগঠন হিসাবে সারাদেশে এর কর্মকান্ডক পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করার আশা রাখে। এবং অদূর ভবিষ্যতে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা, ১৯৬২ এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিবন্ধন করা হবে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল বিধিবিধান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করা হবে।

 

সংগঠনের / ক্লাবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

১. প্রতিটি স্কুল/গ্রাম/ইউনিয়ন/উপজেলা/জেলা/বিভাগ কেন্দ্রিক অঞ্চলগুলোর বর্তমান বন্ধু ও তার সন্তানদের এবং এলাকার ছাত্র/ছাত্রীদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাময় গুণাবলী বিকাশের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা ও তাদের নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখা।

২. সৃষ্টিশীল, সামাজিক মানুষ ও সুনাগরিক সৃষ্টির লক্ষে স্কুল-কলেজে বিভিন্ন কর্মশালা যেমন- বিতর্ক, কুইজ, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৃক্ষ রোপণ, বিনামূল্যে তথ্য সেবা ও সচেতনতামূলক  অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।

৩. প্রতিটি স্কুলের/গ্রামের/ইউনিয়নের/উপজেলার/জেলার/বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণীর মানুষের প্রয়োজনে/বিপদে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। বিশেষ করে এলাকার সাধারণ ও দুস্থ বন্ধুদের চিকিৎসার জন্য অর্থ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, ত্রাণ কার্যক্রম ইত্যাদি।

৪. এলাকার তথা বাংলাদেশের মানুষদের উন্নয়নমুখী ও সৃজনশীল  কাজে সংবর্ধনা প্রদান করা।

৫. “এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ” ও এর প্রতিটি ক্লাব বা অঙ্গ সংগঠন প্রধানত সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।

৬. দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণকে তথা বন্ধুদের ও বিশেষত তরুণ সমাজকে সংগঠিত করবে।

৭. সমাজের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ ও বন্ধুদের পাশে থাকবে।

৮. সমাজের এতিম শিশুদের নিয়ে কাজ করবে।

৯. বেকার ও কর্মমুখী বন্ধুদের ও তার সন্তানদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করবে।

১০. দেশের পরিবেশ এর ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

১১. “এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ” ও এর প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন বা ক্লাব সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিনোদন ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করবে।

১২. “এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ” ও এর প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন বা ক্লাব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করবে।

১৩. “এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ” ও এর প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন বা ক্লাব মুক্তিযোদ্ধাসহ গুণীজনদের সংবর্ধিত করবে।

১৪. সামাজিক সচেতনতায় বিভিন্ন সভা , সেমিনার , সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ।

১৫. অসহায় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করা ।

১৬. ঝড়ে পড়া স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করা ।

১৭. স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সুন্দর শক্তিশালী যুব সমাজ প্রতিষ্ঠা করা ।

১৮. পথ শিশুদের কল্যাণে কাজ করা ।

১৯. মানবতার কাজকে এগিয়ে নেওয়া ।

২০. ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা ।

২১. দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া , সুন্দর সমৃদ্ধশালী  বাংলাদেশ  প্রতিষ্ঠা করা ।

২২. ভবিষ্যতে অত্র সংগঠন ইউনিয়ন/উপজেলা/ জেলা/ বিভাগ/জাতীয় পর্যায়ে কাজ করবে । এমনকি সাংগঠনিক শক্তির উপর নির্ভর করে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এর ব্যাপ্তি সম্প্রসারিত হবে।

২৩. “এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ” ও এর প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন বা ক্লাব এর সদস্যদের কল্যানার্থে বন্ধু নিবাস, শিক্ষালয়, হাসপাতাল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিবে।

অনুষ্ঠানাদিঃ

কেন্দ্রীয়ভাবে সম্ভব হলে বছরে একটি বনভোজন, সম্মেলন, মিলনমেলা, ইফতার পার্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। তবে পারস্পরিক পরিচিতি, সৌহার্দবোধ,বন্ধন, ভ্রাতৃত্ববোধ বা বন্ধুত্তত্ববোধ সৃষ্টিই অনুষ্ঠানাদির মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।

সম্ভব হলে প্রতিটি বিভাগ/জেলা বছরে একবার  “বিভাগী/জেলা ৮৬ সামিট” বা “বিভাগীয়/জেলা ৮৬ বন্ধুসভার” আয়োজন করবে। সম্ভব হলে প্রতিটি “ছিয়াশি ক্লাব” বছরে অন্তত একবার নিজ এলাকায় “৮৬ বন্ধুসভা/বন্ধুআড্ডা” বা “৮৬ মিলনমেলা” র আয়োজন করবে। এই সকল অনুষ্ঠান নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক পরিচিতি, সৌহার্দবোধ,বন্ধন, ভ্রাতৃত্ববোধ বা বন্ধুত্তত্ববোধ সৃষ্টিই মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।

 




©SSC Batch 1986 Bangladesh.

Developed By Biz IT BD